স্বপ্ন পুরণের প্রস্তুতি চলছে পোশাক খাতে

আগামী পাঁচ বছরে পোশাক খাতের রপ্তানি ৫ হাজার কোটি ডলারে নিতে হলে চলমান প্রবৃদ্ধির আকার হতে হবে প্রায় দ্বিগুণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এজন্য নতুন বাজার দখলের পাশাপাশি জোর দিতে হবে পণ্যের গুণগত মান আর উৎপাদন বাড়ানোর দিকে। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, বড় এই স্বপ্ন পুরণ চ্যালেঞ্জ হলেও প্রস্তুতি চলছে।

যার সুফল মিলবে আসছে বছরগুলোতে। ইতিহাসে প্রথমবারের মত দেশজ আয়ের প্রবৃদ্ধিতে ৭ শতাংশের ঘরে পা রাখলো বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে এর প্রধান চালক হচ্ছে রফতানি ও উৎপাদনশীল খাত। যাতে সবচেয়ে বড় অবদান রফতানির শীর্ষ খাত তৈরি পোশাকের।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সবশেষ প্রতিবেদন বলছে চলতি অর্থবছরের নয়মাসে তৈরি পোশাক থেকে রফতানি আয় হয়েছে বিশ বিলিয়ন ডলারের বেশি। যা ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রাকেও। তবে ২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাকের রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে চলমান এই প্রবৃদ্ধিকে করত হবে প্রায় দ্বিগুণ। তাই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং নতুন বাজার খোজার পরামর্শ এই অর্থনীতিবিদের।

রফতানিতে উৎপাদনমুখী শিল্পখাতগুলোর অন্যতম চামড়া, প্লাস্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্য। যেখানে খুব বেশি সুখবর নেই। অর্থবছরের নয়মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রফতানি প্রবৃদ্ধি মাত্র পৌনে তিন ভাগ। প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি আয় কমেছে সাড়ে বার ভাগ।

আর পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় কমেছে প্রায় তের ভাগ। সিপিডির এই নির্বাহী পরিচালকের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে যার বড় সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ। তবে কেবল তৈরি পোশাকে নয়, বিশ্ব প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে উৎপাদশীল সব পণ্যেই মূল্য সংযোজন প্রয়োজন। এজন্য সরকারি পদক্ষেপও জরুরী বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর